সামছুল আরেফিন জাফর:
সামগ্রিকভাবে সব সময়ে আলোচনায় ছিলেন ওসি আবদুস সামাদ। সমালোচনাও কম নয়। এসবের ভিতর দিয়েই তিনি কাজ করে যান। এতে তিনি নিজেও স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। মানুষের সেবার মহানব্রত নিয়ে তিনি কাজ করেন নিরাপত্তা আর শান্তির বিকাশে।
এর আগেও তিনি সোনাইমুড়ির দায়িত্বে ছিলেন। তখনও আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন। যেখানেই যান সোনাইমুড়ির বাসীর প্রতি এক ধরনের টান আর ভালোবাসা অনুভব করেন তিনি। গত ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ আবারো যোগদান করেন তিনি। দায়িত্বের প্রতি আনুগত্য আর দক্ষতার স্বাক্ষর রাখায় আবারো সোনাইমুড়ির দায়িত্বে আসেন তিনি।
বর্তমানে কোভিড ১৯ আক্রান্তের খবর বের হলেও সোনাইমুড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সামাদ পিপিএম বর্তমানে ভালো আছেন এবং কোন উপসর্গ নেই বলে জানা গেছে। এখনো তিনি কাজ করেন। তিনি কখনোই থেমে থাকেননি। গ্রামের মেঠোপথ জুড়ে তার অবাধ বিচরণ চোখে পড়ার মতো। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি নিরলস কাজ করে যান। অপরাধ চূর্ণ করে দিতে তিনি দাফিয়ে বেড়ান সর্বত্র। তার সবচেয়ে বড় সফলতা তিনি সময়মতোই হাজির হন। তার সাথে নিবিড় যোগাযোগ সর্বত্র, সব মানুষের। সর্বশেষ নদোনা সংঘাত বন্ধে তিনি বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন। নানা প্রভাবের মধ্যেই তিনি অস্ত্রের বড় গোডাউন জব্দ করেন। নিয়ন্ত্রনে রাখেন পরিস্থিতি। কোভিড ১৯ প্রতিরোধে তিনি সম্মুখভাগে ছিলেন। করোনায় মৃত মানুষকে তিনি সমাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সায়মন হত্যার প্রধান আসামি মীর হোসেন মীরাকে গ্রেফতার করেন তিনি। নোয়াাখালীর সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদের তৎপরতায় ঢাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আলোকপাড়া গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নিহত হয় মাদ্রাসা ছাত্র সায়মন ।
এ গ্রেফতারে সোনাইমুড়িতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। অভিনন্দন জানান সর্বস্তরের মানুষ।
সোনাইমুড়ি পৌর মেয়র মোতাহের হোসেন মানিক বলেন, ‘ পুলিশ জনতার বন্ধু। ওসি আবদুস সামাদকে দেখলে তাই মনে হয়। ব্যাপক বিশৃঙ্খলার মধ্যে তিনি দায়িত্ব পালন করতে এসে সফলতা দেখিয়েছেন। তিনি ভালো থাকবেন, ন্যায় বিচারের পক্ষে কাজ করবেন এবং আমাদের ভালো রাখবেন সেই প্রত্যাশাই করি।’
সোনাইমুড়ি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক মাহফুজুর রহমান ভিপি বাহার এ প্রতিবেদককে জানান, ‘দায়িত্ব পালনে তিনি অনন্য। এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা প্রশংসার দাবী রাখেন। আমি মনে করি ওসি সামাদকে নিয়ে মানুষ গর্ব করতে পারে।’
সোনাইমুড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক খোরশেদ আলম জানান, ‘ওসি সামাদ একজন ব্যতিক্রম মানুষ। তিনি ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করে যেতে চেষ্টা করেন। তার নিষ্ঠা আমাদের আশাবাদী করে তোলে।’
সোনাইমুড়ি বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সুমন বলেন, ‘ তিনি একজন সাহসী অদম্য অফিসার। তিনি চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে এনেছেন। তার নেতৃত্বে এ এলাকায় শান্তির সুবাতাস বইবে। সেই প্রত্যাশা আমরা রাখি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য একটি স্বার্থন্বেষি মহল তাকে এ এলাকা থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এতে তাদের গোপন কোন এজেন্ডা থাকতে পারে। ‘
(লেখক,সামছুল আরেফিন জাফর,সাবেক সভাপতি,সোনাইমুড়ী প্রেস ক্লাব)