লেখকঃ
এস এইচ মোহাম্মদ মোশাররফ.
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী সাংবাদিক।
বৃদ্ধা মহিলার মেয়েকে বিয়ে করতে না পেরে গরু চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মা ও মেয়েকে জনসম্মুখে পিটিয়ে কোমরে রশি বেঁধে এলাকায় ঘুরিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে এনে পুনরায় নির্মম নির্যাতন চালায় চেয়ারম্যান মিরানুল ও তার সঙ্গীরা। এমন একটি অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশের সোশ্যাল মিডিয়াতে তুমুল প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সাথে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে।
হয়তো বা গ্রেপ্তার, তথাকথিত জিজ্ঞাসাবাদ রাজকীয় পরিসরে বিচার! তাতে কি লাভ? সমাজের কুরুচিপূর্ণ আওয়ামী লীগ নেতা মিরানুলদের হাতে সম্ভ্রম হারানো মা-মেয়ের ইজ্জত কি ফিরিয়ে দিতে পারবে নষ্ট সমাজ কিংবা একপেশে অন্ধ বিচার ব্যবস্থা? গত এক দশকের বেশি সময় আমরা দেখছি ক্ষমতাসীন কিংবা সমাজের ভিন্নভাবে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণকারী মানুষগুলোর নোংরা মন-মানসিকতার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাংলার সমাজ ব্যবস্থা। প্রতিনিয়তই বাংলাদেশে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমে আসার কারণে আজকাল প্রকাশ্য ক্ষমতাসীন দলের লোকদের কুরুচিপূর্ণ কাজগুলো প্রতিবাদ করে না সমাজের শ্রদ্ধাভাজন মানুষগুলো।
ক্ষমতার পালাবদলে এক রাজনৈতিক দলের পরে অন্য রাজনৈতিক দল আসবে এটাই স্বাভাবিক আমাদের মত মিথ্যা গণতন্ত্রকামী মানুষ গুলোর দেশে। প্রশ্ন হচ্ছে, রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ভিন্নখাতে ব্যবহার করা লোকগুলো যে সমাজব্যবস্থা কিংবা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে বলপ্রয়োগ করে ধ্বংস করে দিচ্ছে সেটি কি পুনরুদ্ধার হবে? মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গরু চোরের মত কুরুচিপূর্ণ কাজের বিচার এর নাম করে কক্সবাজারে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। নতুন প্রজন্ম শিক্ষা নিচ্ছে কিন্তু এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ কাজগুলো থেকে। জঘন্যতম অন্যায় করার পরেও যদি কোন ক্ষমতাসীন দলের লোক বিচারের ঊর্ধ্বে থাকে তখন নতুন প্রজন্ম কিন্তু ঘৃণিত কাজগুলো করতে উৎসাহ বোধ করে পৃথিবীর যেকোন দেশে। খুব দ্রুত যদি ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতার অপব্যবহারকারী মানুষগুলোর অনৈতিক কাজ থামানো না যায় তাহলে চরম মূল্য দিতে হবে বাংলাদেশকে।