ক্রীড়া প্রতিবেদক : এসএ গেমসের পর প্রথম জাতীয় অ্যাথলেটিকস মাঠে গড়াচ্ছে কাল থেকে। ফেডারেশনের ভাষ্য অনুযায়ী প্রায় ৬০০ অ্যাথলেট ৩৬টি ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এ আসরে।
দক্ষিণ এশীয় গেমসের ৩৬টি ইভেন্টে সাকল্যে দুটি ব্রোঞ্জ জেতে বাংলাদেশ। ঘরোয়া আসর দিয়ে তা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো ইঙ্গিতও নেই। এবারও শীর্ষ এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে হাতঘড়িতেই।
সর্বশেষ ২০১০ এসএ গেমসে ইলেকট্রনিক টাইমার ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপর শোনা গেছে কারা নাকি ফেডারেশন থেকে সেই টাইমারের যন্ত্রপাতি চুরি করে নিয়ে গেছে। সেই গল্প সেখানেই শেষ, ফেডারেশন কর্মকর্তারা অম্লান বদনে আবার হাতঘড়িতেই ফিরে গেছেন। এসএ গেমসে বাংলাদেশের দ্রুততম মানব মেসবাহ আহমেদ ও মানবী শিরিন আক্তার যথাক্রমে চতুর্থ ও ষষ্ঠ হয়েছিলেন। ঘরোয়া মিট জিততে এবারও তাঁরাই ফেভারিট। গত দুদিন ধরেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম অ্যাথলেটদের দখলে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে তাঁদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। ট্র্যাকের ছেঁড়া-খোঁড়া অংশ মেরামত হয়েছে কিছুদিন আগেই। এখন লেনগুলোতে নতুন রং পড়ছে। কিন্তু আসরে নতুনত্ব নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে অনুপ্রেরণাও সামান্য। এবারের আসরের পৃষ্ঠপোষক জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দ্রুততম মানব ও মানবীকে দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা করে। অন্যান্য ইভেন্টের সোনাজয়ীদের শখানেক টাকার পদকই প্রাপ্তি। তিন দিনের এ আসরের বাজেট রাখা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। তার মধ্যে ছয় লাখ টাকা পাওয়া যাবে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। কাল সকাল ৯টায় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার।