মোঃ শরীফ উদ্দিন (দক্ষিণ আফ্রিকা):
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইনের আলী জামান চৌধুরী মানিক, কেপটাউনের মিজানুর রহমান এবং জোহানসবার্গের নাসের উদ্দিন সহ ৩ বাংলাদেশি সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মানিকের মৃত্যু হয়।
জানাযায়, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রি-স্টেট প্রদেশের ব্লুমফন্টেইনে বাড়ীর আঙ্গিনায় আফ্রিকান স্ত্রী সামনে বসে থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার সময় অজ্ঞাত ব্যক্তির গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয় মানিক। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে বৃহস্পতিবার ১১ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মানিকের মৃত্যু হয়।
নিহত মানিকের দেশের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আলাইয়ার পুর ইউনিয়নের হাসান আলী ডাক্তার বাড়ীর নুরুল চৌধুরীর ছেলে।
তিনি ২০০২সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে বসবাসের জন্য সিটিজেনশীপ পেয়েছেন। স্থানীয় একটি বেসরকারি সিকিউরিটি কোম্পানীতে কাজ করতেন। এখানে তার আফ্রিকান মুসলিম স্ত্রীর ঘরে একটি সন্তান রয়েছে।
আগামীকাল শুক্রবার বাদজুমা ব্লুমফন্টেইনের স্থানীয় মুসলিম কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।
এদিকে কেপটাউনের কায়লিসা এলাকায় সোমবার (১ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে অজ্ঞাত ব্যক্তির গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান।তার দেশে বাড়ি নোয়াখালী বলে জানা গেছে।
মিজানুর রহমানকে টার্গেট করে অজ্ঞাত ব্যক্তির ছোড়া চারটি গুলি শরীরে বিদ্ধ হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়াও জোহানসবার্গের পাইনটাউনে শনিবার ৬ফেব্রুয়ারি সন্ধা ৮টার সময় নাসির উদ্দিনের নিজ দোকানে ডাকাতদল হামলা চালায়। এসময় ডাকাতের ছোড়া গুলিতে পেট ও হাতে দুই জায়গায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তিনি জোহানসবার্গের বারাঘোনাথ হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে গতকাল বুধবার রিলিজ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। তিনি ভালো আছেন। ডাক্তার বলেছে তিনি আশষ্কামুক্ত।
তার দেশের বাড়ী নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
চলতি বছর জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৬ বাংলাদেশি খুনের মধ্যে ৫জন নোয়াখালীর জেলার।