নাসিক নির্বাচনের আর মাত্র তিন দিন বাকী। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই মানুষের মাঝে একধরণের আশঙ্কা ও অস্বস্তি ঘনীভুত হচ্ছে। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জবাসীর একটাই প্রশ্ন-তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিরাপদে ভোট দিতে পারবে কী না?
আজ রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসব কথা বলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
রিজভী আহমেদ বলেন, ধানের শীষের প্রার্থী এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে উৎকন্ঠিত। মানুষ নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে এমন পরিবেশের নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন বসানো থেকে শুরু করে নির্ভয়ে ভোট দেয়ার নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের পরিবর্তে প্রশাসনে দলবাজ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে নির্বাচনী কাজে। ভোট নেয়ার জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে সরকারদলীয় ক্যাডারদের।
ইতোমধ্যে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে-ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডারদের প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে একসময়ে ছাত্রলীগ করা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, বলেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে নাসিক নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কী না এই প্রশ্নটি এখন মানুষের মুখে মুখে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে দলবাজ কর্মকর্তাদের নির্বাচনী কাজ থেকে বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ প্রশাসন সাজানোর আহবান জানালেও নির্বাচন কমিশন সেটিকে আমলে নেয়নি।
সেনা মোতায়েনের যৌক্তিক দাবিকে সিইসি উড়িয়ে দিয়েছেন দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সন্ত্রাসকবলিত নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের হাতে যে বিশাল বৈধ-অবৈধ অস্ত্রের ভান্ডার রয়েছে তা উদ্ধার কিংবা জমা নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি নির্বাচন কমিশন।