স্টাফ করেস্পন্ডেন্টঃ
নোয়াখালীর চাটখিলে মসজিদের টাকা আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মামলায় মুয়াজ্জিন গোলাম কিবরিয়াকে আটক করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আটককৃত মুয়াজ্জিন উপজেলার বাদুলী গ্রামের মরহুম নুরুল ইসলামের ছেলে গোলাম কিবরিয়া (৪৩)।
জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি পুলিশের প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিন কড়িহাটির ভূইয়া বাড়ির জামে মসজিদ এর দীর্ঘদিন থেকে মোয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন গোলাম কিবরিয়া। কমিটির সাথে তার সুসম্পর্কের কারনে তিনি প্রায়ই মসজিদের অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে মুসল্লিরা প্রতিবাদ করেন। এরই মধ্যে এই নিয়ে হট্টগোল তৈরি হলে স্থানীয় মুসল্লী মুফতি মোহাম্মদ ইহসাই উল্লাহ নোয়াখালী আমলী আদালতে মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে বিবাদী করে নোয়াখালী আমলী আদালত -৬ এ একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)কে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে নোয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশ গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে আনিতো অভিযোগের সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুযায়ী চাটখিল থানা পুলিশ মোয়াজ্জিন গোলাম কিবরিয়াকে বৃহস্পতিবার দুপুরে মসজিদের কামরা থেকে গ্রেফতার করে এবং শুক্রবার সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, মুয়াজ্জিন কিবরিয়া বিরুদ্ধে মসজিদের অনুদান আত্মসাৎ, মসজিদের পরিচালনাধীন মক্তবের একটি ১৪ বছরের এক শিশু কন্যাকে নানা প্রলোভনে বিভিন্ন উপঢৌকন দেওয়ার প্রমাণ পায় তারা।
মামলার বাদী মুফতি মোহাম্মদ এহসান উল্যার জানান, মামলার পররেই তার বাড়িতেও হামলার অভিযোগ রয়েছে এই মামলার তিন বিবাদী ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে।
এই নিয়ে এই নিয়ে থানায় একটি মামলা রয়েছে যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মুফতি মোহাম্মদ এহসান উল্লাহ আরো জানিয়েছেন মুয়াজ্জিন কে আটকের পর থেকে তাকে স্থানীয় কিছু উশৃংখল যুবক তাকে গুম করে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি।