Dhaka ১১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

চাটখিলে হিন্দুদের শ্মশানের জমি দান করে বিপদে ব্যবসায়ী

  • আপডেট: ০৪:৫৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২
  • 45

Made with LogoLicious Add Your Logo App

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ঃ
চাটখিলে সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মালম্বীদের লাশ পোড়ানোর জন্য শ্মশানের জমি ও পূজার করার জন্য জমি দিয়ে সহযোগিতা করায় বিপদে পড়েছেন শহীদুল্ল্যাহ নামক একজন ব্যবসায়ী। এই ঘটনার পর নিজেকে বাঁচাতে তিনি আত্মগোপনে আছেন বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন সূত্র।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, চাটখিল উপজেলার বদলকোট গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে শহিদুল্ল্যাহ স্থানীয় বদল কোট বাজারের ব্যবসায়ী।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোলায়মান শেখের নেতৃত্বে গত ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর হিন্দু ধর্মালম্বীদের পূজা ও শ্মশানের জমিন দখল করে যুবলীগের কার্যালয় স্থাপন করা হয়। আর এতে স্থানীয় হিন্দুদের পূজার জন্য কিছু জমিন দান করার বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর শহীদুল্ল্যাহর দোকানে সরকার দলীয় সন্ত্রাসী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান
মোঃ সোলায়মান শেখ ও তার সহযোগীরা এবং স্থানীয় কিছু মুসলিম নামের ধর্মান্ধরা একজোট হয়ে হামলা চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দিয়ে দোকানপাট পুড়িয়ে দেয়।এই সময় দোকানের মালিক পালিয়ে বাঁচতে পারলেও তার দোকানের কর্মচারী হিন্দু ধর্মালম্বী নারায়ণ চন্দ্র অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।
শ্মশান দখল হয়ে যাওয়ায় পরিবার
পরের দিন নারায়ণ চন্দ্রের লাশ পোড়ানো নিয়ে পরিবার বিপাকে পড়ে। আর এতে আবারো শ্মশানের জমি দিয়ে হিন্দুদের পাশে দাঁড়ান ওই ব্যবসায়ী। লাশ পোড়ানোর সময় আগের সেই চক্র বাধা প্রদান করে। এই সময় ব্যবসায়ী শহীদুল্ল্যাহ ও তার ভাই প্রতিবাদ করলে এদের উপর ফের হামলা করা হয়।আক্রমণ করা হয় তাদের বাড়িঘরে। এতে ব্যবসায়ী শহীদুল্ল্যাহ মাথা ফেটে যায়। আর এতে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাস বাহিনী ওই ব্যবসায়ী শহীদুল্ল্যাহর মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লাস করতে থাকে বলে ও স্থানীয়রা দাবি করে।
পরে ব্যবসায়ী শহীদুল্ল্যাহ কে অজ্ঞান অবস্থায় তার তার স্বজনরা উদ্ধার করে চাটখিলেরএকটি বেসরকাররি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
ওই ব্যবসায়ীর ভাই আরো জানান, তারা সেই সময় জানতে পারে। তার ভাই জীবিত থাকার কথা জানতে পারলে চেয়ারম্যানের লোকেরা শহীদুল্ল্যাহ কে হত্যা করবে।তাই তারা তার ভাইকে আত্মগোপনে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। সেই থেকে শহীদুল্ল্যাহ নিজের জীবন বাঁচাতে আত্মগোপনে চলে যায়।
স্থানীয়রা এইসব ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেছে। তারা বলছেন সরকারদলীয় নেতা সোলাইমান শেখের প্রত্যক্ষ মদদে এসব ঘটনা ঘটছে কিন্তু পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়া কিংবা অভিযোগ করা আমলেই নিচ্ছেন না যার কারণে উপজেলার বদলকোট ও তার আশেপাশের অঞ্চলের বাজার গুলো থেকে মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা আদায় করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।

এ ব্যাপারে জানতে আমরা সোলায়মান শেখের মোবাইলে কল করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনেই বলেন, তিনি এই ব্যাপারে সাংবাদিকদের কৈপিয়ত দিতে প্রস্তুত না।

চাটখিল থানার ওসি জানান, পুলিশ চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য।

Tag :

চাটখিলের কৃতি সন্তান এস এম ফয়েজ বাংলাভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি

চাটখিলে হিন্দুদের শ্মশানের জমি দান করে বিপদে ব্যবসায়ী

আপডেট: ০৪:৫৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ঃ
চাটখিলে সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মালম্বীদের লাশ পোড়ানোর জন্য শ্মশানের জমি ও পূজার করার জন্য জমি দিয়ে সহযোগিতা করায় বিপদে পড়েছেন শহীদুল্ল্যাহ নামক একজন ব্যবসায়ী। এই ঘটনার পর নিজেকে বাঁচাতে তিনি আত্মগোপনে আছেন বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন সূত্র।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, চাটখিল উপজেলার বদলকোট গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে শহিদুল্ল্যাহ স্থানীয় বদল কোট বাজারের ব্যবসায়ী।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোলায়মান শেখের নেতৃত্বে গত ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর হিন্দু ধর্মালম্বীদের পূজা ও শ্মশানের জমিন দখল করে যুবলীগের কার্যালয় স্থাপন করা হয়। আর এতে স্থানীয় হিন্দুদের পূজার জন্য কিছু জমিন দান করার বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর শহীদুল্ল্যাহর দোকানে সরকার দলীয় সন্ত্রাসী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান
মোঃ সোলায়মান শেখ ও তার সহযোগীরা এবং স্থানীয় কিছু মুসলিম নামের ধর্মান্ধরা একজোট হয়ে হামলা চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দিয়ে দোকানপাট পুড়িয়ে দেয়।এই সময় দোকানের মালিক পালিয়ে বাঁচতে পারলেও তার দোকানের কর্মচারী হিন্দু ধর্মালম্বী নারায়ণ চন্দ্র অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।
শ্মশান দখল হয়ে যাওয়ায় পরিবার
পরের দিন নারায়ণ চন্দ্রের লাশ পোড়ানো নিয়ে পরিবার বিপাকে পড়ে। আর এতে আবারো শ্মশানের জমি দিয়ে হিন্দুদের পাশে দাঁড়ান ওই ব্যবসায়ী। লাশ পোড়ানোর সময় আগের সেই চক্র বাধা প্রদান করে। এই সময় ব্যবসায়ী শহীদুল্ল্যাহ ও তার ভাই প্রতিবাদ করলে এদের উপর ফের হামলা করা হয়।আক্রমণ করা হয় তাদের বাড়িঘরে। এতে ব্যবসায়ী শহীদুল্ল্যাহ মাথা ফেটে যায়। আর এতে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাস বাহিনী ওই ব্যবসায়ী শহীদুল্ল্যাহর মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লাস করতে থাকে বলে ও স্থানীয়রা দাবি করে।
পরে ব্যবসায়ী শহীদুল্ল্যাহ কে অজ্ঞান অবস্থায় তার তার স্বজনরা উদ্ধার করে চাটখিলেরএকটি বেসরকাররি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
ওই ব্যবসায়ীর ভাই আরো জানান, তারা সেই সময় জানতে পারে। তার ভাই জীবিত থাকার কথা জানতে পারলে চেয়ারম্যানের লোকেরা শহীদুল্ল্যাহ কে হত্যা করবে।তাই তারা তার ভাইকে আত্মগোপনে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। সেই থেকে শহীদুল্ল্যাহ নিজের জীবন বাঁচাতে আত্মগোপনে চলে যায়।
স্থানীয়রা এইসব ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেছে। তারা বলছেন সরকারদলীয় নেতা সোলাইমান শেখের প্রত্যক্ষ মদদে এসব ঘটনা ঘটছে কিন্তু পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়া কিংবা অভিযোগ করা আমলেই নিচ্ছেন না যার কারণে উপজেলার বদলকোট ও তার আশেপাশের অঞ্চলের বাজার গুলো থেকে মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা আদায় করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।

এ ব্যাপারে জানতে আমরা সোলায়মান শেখের মোবাইলে কল করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনেই বলেন, তিনি এই ব্যাপারে সাংবাদিকদের কৈপিয়ত দিতে প্রস্তুত না।

চাটখিল থানার ওসি জানান, পুলিশ চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য।