Dhaka ০৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

নোয়াখালী সদরে কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পে হরিলুট,  বঞ্চিত দরিদ্র শ্রমিক

  • আপডেট: ০১:৩৩:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • 184

Made with LogoLicious Add Your Logo App

নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারের গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে।
কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিমের ভাষ্যমতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭-৮টি রাস্তায় মাটি ফেলার কাজ চলছে। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানালেন ওই ইউনিয়নে ২টি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে এসব প্রকল্পের কাজ করার বাধ্যবাধকতার কথা থাকলেও, মেশিন দিয়ে সস্তায় মাটি  কেটে সরকারের  টাকা আত্মসাৎ করছেন এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা। ওই ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো প্রকল্প কমিটি শ্রমিক দিয়ে কাজ করার মাস্টাররোল অফিসে জমা দিলেও, আসলে কাজ করছে এস্কেভেটর (স্থানীয়ভাবে ভেকু নামে পরিচিত) মেশিন দিয়ে। রাস্তার পাশের মানুষের ফসলি জমি কেটে নেওয়া হচ্ছে রাস্তার মাটি। এতে দরিদ্র শ্রমিকের পাশাপাশি কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এসব অনিয়মের সবই হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের চোখের সামনে। কিন্তু, কাউকেই কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে উপজেলা প্রশসনকে ম্যানেজ করে চলছে এই অনিয়ম ও দুর্নীতি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিম বলেন, আমার ইউনিয়নে ৭-৮টি রাস্তার কাজ চলমান আছে, ৫০ শতাংশ কাজ শেষ। আমাদের এলাকায় শ্রমিকের সংখ্যা খুবই কম। আমাদের এলাকার প্রায় লোকগুলো এ সময়ে ইটভাটায় কাজ করে।  শ্রমিক দিয়েও কাজ চলছে।  আবার বর্ষা চলে আসছে এই জন্য সময় মত কাজ গুলো শেষ করতে কয়েকটা প্রকল্পে মেশিন দিয়ে কাজ চলছে।  অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু তার ইউনিয়নে নয় সব ইউনিয়নে এই ভাবে কাজ চলছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Tag :

সড়ক দুর্ঘটনায় একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবার

নোয়াখালী সদরে কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পে হরিলুট,  বঞ্চিত দরিদ্র শ্রমিক

আপডেট: ০১:৩৩:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারের গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে।
কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিমের ভাষ্যমতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭-৮টি রাস্তায় মাটি ফেলার কাজ চলছে। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানালেন ওই ইউনিয়নে ২টি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে এসব প্রকল্পের কাজ করার বাধ্যবাধকতার কথা থাকলেও, মেশিন দিয়ে সস্তায় মাটি  কেটে সরকারের  টাকা আত্মসাৎ করছেন এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা। ওই ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো প্রকল্প কমিটি শ্রমিক দিয়ে কাজ করার মাস্টাররোল অফিসে জমা দিলেও, আসলে কাজ করছে এস্কেভেটর (স্থানীয়ভাবে ভেকু নামে পরিচিত) মেশিন দিয়ে। রাস্তার পাশের মানুষের ফসলি জমি কেটে নেওয়া হচ্ছে রাস্তার মাটি। এতে দরিদ্র শ্রমিকের পাশাপাশি কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এসব অনিয়মের সবই হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের চোখের সামনে। কিন্তু, কাউকেই কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে উপজেলা প্রশসনকে ম্যানেজ করে চলছে এই অনিয়ম ও দুর্নীতি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিম বলেন, আমার ইউনিয়নে ৭-৮টি রাস্তার কাজ চলমান আছে, ৫০ শতাংশ কাজ শেষ। আমাদের এলাকায় শ্রমিকের সংখ্যা খুবই কম। আমাদের এলাকার প্রায় লোকগুলো এ সময়ে ইটভাটায় কাজ করে।  শ্রমিক দিয়েও কাজ চলছে।  আবার বর্ষা চলে আসছে এই জন্য সময় মত কাজ গুলো শেষ করতে কয়েকটা প্রকল্পে মেশিন দিয়ে কাজ চলছে।  অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু তার ইউনিয়নে নয় সব ইউনিয়নে এই ভাবে কাজ চলছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।