আজ শুক্রবার, ০৯ Jun ২০২৩, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
সোনাইমুড়ীতে খন্দকার রুহুল আমিনের বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া, যা বলছেন এমপি আর ওসি চাটখিলে নেতাকর্মীদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন খন্দকার রুহুল আমিন নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরামের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত লন্ডনে তারেক রহমানের পিএ সানির বিয়ের অনুষ্ঠানে পরান চৌধুরীর সস্ত্রীক যোগদান চাটখিলে যুবলীগ নেতার বাবার মৃত্যু, এমপি মেয়রের শোক নিউইয়র্কে ব্যাডমিন্টন টুনামেন্টের পুরস্কার বিতরনী অনুষ্টান অনুষ্ঠিত চাটখিলে রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ও মান সম্মত খাবার সরবরাহ নিয়ে মতবিনিময় চাটখিলে প্রাথমিকের ৭শ শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে কর্মশালা অল অফ ওয়ান বিডি চাটখিলের ৩য় বর্ষপূর্তি পালন কাবিলা খ্যাত অভিনেতা পলাশের নিজ জন্মভুমি সোনাইমুড়ীতে শীতবস্ত্র বিতরণ
নোয়াখালী সদরে কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পে হরিলুট,  বঞ্চিত দরিদ্র শ্রমিক

নোয়াখালী সদরে কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পে হরিলুট,  বঞ্চিত দরিদ্র শ্রমিক

Made with LogoLicious Add Your Logo App

নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারের গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে।
কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিমের ভাষ্যমতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭-৮টি রাস্তায় মাটি ফেলার কাজ চলছে। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানালেন ওই ইউনিয়নে ২টি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে এসব প্রকল্পের কাজ করার বাধ্যবাধকতার কথা থাকলেও, মেশিন দিয়ে সস্তায় মাটি  কেটে সরকারের  টাকা আত্মসাৎ করছেন এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা। ওই ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো প্রকল্প কমিটি শ্রমিক দিয়ে কাজ করার মাস্টাররোল অফিসে জমা দিলেও, আসলে কাজ করছে এস্কেভেটর (স্থানীয়ভাবে ভেকু নামে পরিচিত) মেশিন দিয়ে। রাস্তার পাশের মানুষের ফসলি জমি কেটে নেওয়া হচ্ছে রাস্তার মাটি। এতে দরিদ্র শ্রমিকের পাশাপাশি কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এসব অনিয়মের সবই হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের চোখের সামনে। কিন্তু, কাউকেই কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে উপজেলা প্রশসনকে ম্যানেজ করে চলছে এই অনিয়ম ও দুর্নীতি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিম বলেন, আমার ইউনিয়নে ৭-৮টি রাস্তার কাজ চলমান আছে, ৫০ শতাংশ কাজ শেষ। আমাদের এলাকায় শ্রমিকের সংখ্যা খুবই কম। আমাদের এলাকার প্রায় লোকগুলো এ সময়ে ইটভাটায় কাজ করে।  শ্রমিক দিয়েও কাজ চলছে।  আবার বর্ষা চলে আসছে এই জন্য সময় মত কাজ গুলো শেষ করতে কয়েকটা প্রকল্পে মেশিন দিয়ে কাজ চলছে।  অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু তার ইউনিয়নে নয় সব ইউনিয়নে এই ভাবে কাজ চলছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2022 Priyo Noakhali
Design & Developed by TrustSoftBd